অ্যালোভেরার উপকারিতা, ঔষধি গুনাগুন এবং ব্যবহারের নিয়ম

আমরা সবাই অ্যালোভেরা গাছ চিনি এবং অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি জানি। আজকে আমরা অ্যালোভেরা সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত জানবো। অ্যালোভেরা আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক বেশি। অ্যালোভেরা আমরা সালাত বা সবজি হিসাবে খেতে পারি। বাহ্যিকভাবেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে এই ভেজষের উপকারিতার কথা আমরা জানি। শরীরের নানা পুষ্টি যোগান দিতে এবং অসুখ বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা অনেক গুন রয়েছে। আজকে আমরা ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা কি (What is aloe vera)
ঘৃতকুমারী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ( Aloe vera) অ্যালোভেরা। উদ্ভিদটির ইংরেজি নাম হলো (Medicinal aloe, Burn plant) । এই গাছ দেখতে অনেকটা ফনিমসার মতো। অ্যালোভেরা রসালো প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। পুষ্টিগুণে ভরা এই উদ্ভিদটির আদি নিবাস হলো আফ্রিকার মরুভূমিতে। অ্যালোভেরা ভেজসটি উৎপত্তি লাভ করে প্রায় ৬০০০ বছর আগে।
এই গাছের পাতা গুলো আনারস গাছের পাতার মতো। এর পাতার ভিতরে পিচ্ছিল তরল পদার্থ থাকে। সব রকমের মাটিতে অ্যালোভেরা চাষ করা সম্ভব। গাছটির পানি দরকার হলেও এর গুঁড়ায় যেন পানি না জমে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অ্যালোভেরা গাছের পুষ্টিগুণ হলো এই গাছে ২২ টি অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ২০ টি খনিজ পদার্থ রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম (Rules for eating aloe vera)
নিয়ম অনুযায়ী অ্যালোভেরা খেতে হবে। অ্যালোভেরা আমরা দুইভাবে খেতে পারি। জুসার দিয়ে আলোভেরার জুস বানিয়ে এবং সালাত হিসাবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আলোভেরার জুস খাওয়ার উপকারিতা বেশি। তাই আমাদের উচিত হবে সকালে খালি পেটে আলোভেরার জুস খাওয়া।
অ্যালোভেরা জুস বানানোর নিয়ম
অ্যালোভেরা অনেক রোগের ঔষধ। বিভিন্ন রোগ যেমন চর্ম, যৌন, চুল পড়া, ত্বক জ্বলাপোড়া করা ইত্যাদি। এসব রোগ ছাড়াও আরো অনেক রোগ আছে যার ঔষধ হলো অ্যালোভেরা। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরা খেতে পারলে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন কথা হলো অ্যালোভেরা কিভাবে খাবো। অ্যালোভেরা আমরা জুস বানিয়ে খাবো। অ্যালোভেরার জুস খুব উপকারী ও মজাদার। অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার মাদ্ধমে আমরা এসব রোগ থেকে মুক্তি পাবো।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- কাচা মরিচ
- অ্যালোভেরা পরিমান মতো
- এক গ্লাস পানি
- বিট লবন
- মধু এক চামচ
চামচ দিয়ে জেল বের করুন। একটা ব্লেন্ডার নিন। জুসার মেশিনের মধ্যে একসাথে মরিচ, মধু, লবন, পানি দিন। এখন ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজনে অল্প পরিমান চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার উপকারিতা
- ভিটামিনের অভাব দূর করে।
- হজমের উন্নতি করে।
- অন্টি অক্সিডেন্ট এর অভাব দূর করে।
- বদ হজমের সমস্যা দূর করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- রক্তশুন্যতা দূর করে।

স্বাস্থ্য গুণ এবং আলোভেরার উপকারিতা (Benefits of aloe vera)
ত্বকের যত্নে আলোভেরা
বহু দিন আগে থেকেই ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার কার্যকারিতা অনেক বেশি। বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখে ব্রণ হয়। ব্রণ চলে গেলেও দাগ থেকে যায়। ব্রণের দাগ দূর করার জন্য আলোর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আলোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান। যা আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান আমাদের ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ত্বক ভালো রাখে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
রোদের তাপে আমাদের ত্বক নষ্ট হয়। ত্বকের মধ্যে একটা পুড়ে যাওয়া ভাব আসে। এই পুড়ে যাওয়া ভাব দূর করে অ্যালোভেরা। আলোভেরাতে থাকা উপাদান এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এবং ত্বক রাখে উজ্জল ও মসৃন।
ত্বক জ্বলা প্রতিরোধ করে।
আমরা অনেক সময় ত্বকে জ্বলা অনুভব করি। মনে হয় যে হাত পা জ্বলা পোড়া করছে। অ্যালোভেরা ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অনেকের হয়তো মাথার তালোতে জ্বলা পোড়া করা। আলোভেরাতে আছে চার স্টেরলস ও স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো জ্বলা পোড়া রোধ করে।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
শারীরিক সুন্দর্যের জন্য আমাদের চুলের অনেক ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সে আমাদের অনেকের চুল পড়ে যায় বা উঠে যায়। চুলের গুঁড়া শক্ত করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও অ্যালোভেরা চুলকে মসৃন এবং চুলের সুন্দর্য বাড়ায়। অ্যালোভেরা চুলের খুশকি দূর করতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। যাদের মাথায় খুশকি রয়েছে তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পারেন আশা করা যায়।
অ্যালোভেরা চুলের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান। আসুন জেনে নেই অ্যালোভেরার জেল চুলে দেওয়ার নিয়ম। অনেক সময় আমাদের চুল পরে যায়। চুলে খুশকি হয়। এত সব বিষয় নিয়ে আমরা টেনশন করি। কিভাবে আমাদের চুল পড়া রোধ করা যায়। চুল থেকে কিভাবে খুশকি দূর করা যায়। আশা করি এখন আপনারা এসব সমস্যার সমাধান পাবেন।

আপনার হাতের কাছে যদি থাকে অ্যালোভেরা। তাহলে আপনি খুব সহজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। অ্যালোভেরা গাছ দিয়ে আপনি নিজেই বানাতে পারেন অ্যালোভেরার জেল। আপনার তৈরী এই জেল বাজার থেকে কিনা জেলের থেকে বেশি উপকারী হবে।
অ্যালোভেরা চুলের কি কি উপকার করে।
- অ্যালোভেরা চুলের রুক্ষতা দূর করে।
- মাথার ত্বকের অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জেল।
- খুশকির সমস্যা দূর করে এই কার্যকরী ভেষজ।
- চুল পড়া প্রতিরোধ করে। চুলের গুঁড়া শক্ত করে।
- অ্যালোভেরায় থাকে ভিটামিন সি। যা চুলের উন্নতি করে।
অ্যালোভেরা চুলে ব্যবহার করার নিয়ম
নিয়ম – ১
অ্যালোভেরা গাছ থেকে কিছু পাতা কাটুন। এই পাতা গুলো কিছু সময় পানিতে রাখবেন। এখন একটা জিনিস খেয়াল করবেন। এই পাতা থেকে একটা পদার্থ বের হবে। এই পদার্থের নাম অ্যালোলেটিক্স। এই অ্যালোলেটিক্স পদার্থ অ্যালোভেরা থেকে সম্পুন্ন ফেলে দিতে হবে। কেননা এই পদার্থ চুল এবং ত্বকের জন্য খারাপ। তাই অ্যালোভেরা থেকে সম্পুন্নরূপে এই পদার্থ ফেলে দিতে হবে।
এই পদার্থ বের হওয়ার পরে অ্যালোভেরা পরিষ্কার পানি দিয়ে দুয়ে নিবেন। অ্যালোলেটিক্স পদার্থ যেন না থাকে খেয়াল রাখবেন। অবশ্যই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি দিয়ে দুবেন।
এভাবে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করুন। জেল বের করার জন্য চামচ বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন জেলের মধ্যে যেন ময়লা না লাগে।
পরিষ্কার এই জেল শ্যাম্পু (shampoo ) করা ৩ ঘণ্টা আগে চুলে লাগিয়ে নেন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য শ্যাম্পু করার আগের দিন চুলে জেল লাগান। তবে ২ ঘণ্টার কম সময় রাখলে ভালো রেজাল্ট পাবেন না।
নিয়ম – ২
চামচ দিয়ে জেল সংগ্রহ করুন। এবং এতে পরিমান মতো পানি দিন। এখন একটা ব্লেন্ডার মেশিনে নিয়ে ব্ল্যান্ড করুন। এই জেল একটি পরিষ্কার উপযুক্ত পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এখন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ৩ দিন বেবহার করেন। অনেক সময় চুলে ভেজাভাব আনার আমরা জন্য পানি ব্যবহার করি। এখন পানি ব্যবহার না করে জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে উজ্জ্বল ভাব আসবে।
নিয়ম – ৩
অ্যালোভেরার জেলের সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও পেঁয়াজ এবং আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো রেজাল্ট পাবেন। আমরা সবাই জানি যে আমলকি এবং পেঁয়াজ খুব উপকারী। এসব ব্যবহারের ফলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
আরও পড়ুন জাফরানের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ এবং দাম
মুখের ঘা সারাতে অ্যালোভেরা
আমাদের অনেক মুখের ভিতরে ঘাঁ হয়। এই বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তাছাড়া আমরা জানি ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘাঁ হয়। মুখের ঘাঁ দূর করতে অ্যালোভেরা অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরার জেলি মুখে লাগালে মুখের ঘাঁ ভালো হয়ে যায়। আলোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন সি। অ্যালোভেরা মারি ফুল এবং মুখ থেকে রক্তপড়া ভালো করে।
অ্যালোভেরা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ক্যান্সার একটি ভয়ানক রোগ। ক্যান্সার হলে মৃত্যু অবধারিত। ক্যান্সার রোগের কোনো ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয় নি। তাই ক্যান্সার হলে মানুষ বেঁচে থাকার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়। অ্যালোভেরা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আলোভেরাতে থাকা অ্যালো ইমোডিন স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও অ্যালোভেরা আরো অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।
খাবার ভালোভাবে হজমে অ্যালোভেরার উপকারিতা।
আমরা যে খাবার খাই তা ভালোভাবে হজম হওয়া দরকার। খাবারের ভালো ভাবে হজম হলে শরীরের উন্নতি সাধন হয়। খাবারের হজমে সমস্যা হলে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দেয় শরীরে। তাই আমাদের খাবার ভালোভাবে হজম হওয়া দরকার। অ্যালোভেরা পরিপাক যন্ত্র পরিষ্কার করে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার রস খুবই উপকারী। এর রস ডায়রিয়া এবং কুষ্ঠকাঠিন্নর জন্য খুব উপকারী। আমাদের দেহের পরিপাক ও রেচন যন্ত্রকে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে মুক্ত রাখে।
দূষিত পদার্থ অপসারণ করে।
আমাদের দেহকে ভালো রাখার জন্য ভিতরের ক্ষতিকর পদার্থ বের করাটা খুব জরুরি। দেহের ভিতরে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে গেলে আমাদের নানা রকমের রোগ হতে পারে। এসব ক্ষতিকর পদার্থ আমাদের দেহের ভিতর রক্তের সাথে মিশে অনেক ভোর রোগের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের উচিত এসব পদার্থ বের হ করা। আর এসব পদার্থ বের করার জন্য আমরা ঘৃতকুমারী রস খেতে পারি।
ঘৃতকুমারী রস কোনো দূষিত পদার্থ ভিতরে ঢুকতে দেয় না। এর জুস যখন পেতে যায় তখন ক্ষতিকর পদার্থ মলের সাথে বের করে দেয়।
ওজন কমাতে অ্যালোভেরার উপকারিতা।
মানুষের বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শারীরিক সুন্দর্য নষ্ট হয়। শারীরিক সুন্দর্য ভালো রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রক দরকার। এর জন্য আমরা অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায় অনুসরণ করতে পারি। অ্যালোভেরা আমাদের দেহের ওজন কমাতে অনেকটাই উপকারী। অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করলে অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ওজন কমাতে সক্ষম।

রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।
এর আরও একটি ভালো গুন হলো রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা উপাদান রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্লান্তি দূর করে।
বিভিন্ন কারণে দেহে ক্লান্তি আস্তে পারে। আর ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করতে অ্যালোভেরার জুস অনেক উপকারী। এর মধ্যে থাকা উপাদান দেহের ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর করে দেহের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখে।
চর্মরোগ প্রতিরোধে অ্যালোভেরার উপকারিতা
জনপ্রিয় এই ভেজষ গাছটি আমাদের দেহের চর্ম রোগ প্রতিরোধ করে। এবং আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর করে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
আলোভেরা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর: (Some questions and answers about aloe vera:)
অ্যালোভেরা জেল এর দাম ?
বাজারে অনেক রকমের আলোভেরার জেল পাওয়া যায়। এসব জেলের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু হয়।
অ্যালোভেরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে ?
না। ত্বকে ব্যবহারের জন্য এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং অ্যালোভেরার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
আমাদের শেষ কথা (Our last word)
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল অ্যালোভেরার উপকারিতা। আশা করি আলোভেরার উপকারী গুণগুলো আপনাদের বুঝাতে পেরেছি। অ্যালোভেরার উপকারিতা নিয়ে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। আমরা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো। নিয়ম মেনে পরিমান মতো সঠিকভাবে আলোভেরা ব্যবহার করুন। বাংলা ভাষায় উপকারী সব টিপস পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন। আলোভেরার উপকারিতা নিয়ে আরও জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।